পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশের আরও অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। সারা বিশ্বের কাছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক মডেল সম্পর্ক।
তিনি আরও বলেন, রক্তের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে। বন্ধুভাবাপন্ন এসব দেশে চলাচল যখন উন্মুক্ত হবে, সেদিন আর কোনো ভিসা থাকবে না, সেদিকেই আমাদের যেতে হবে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রথম স্বীকৃতির ৫০ বছর উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব।
অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য এ্যরোমা দত্ত, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল, সাবেক রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমেদ, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ্যরোমা দত্ত বলেন, ইন্দিরা গান্ধী না থাকলে, কত সাধারণ মানুষের প্রাণ অকালে ঝড়ে যেতো, তা কল্পনাও করা যেতো না। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচ্যান কয়েন্টশিল ভুটান প্রথম দেশ যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশ-ভুটানের বন্ধুত্বের ৫০ বছরের এই দিনে সামনের সময় গুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যহত রাখার।
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামী বলেন, বিশেষ একটি দিন, দুই দেশের জন্যেই। যারা বাংলাদেশের জন্য একাত্তরে নিবেদিত থেকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে গেছে। বাংলাদেশকে স্বাধীন হতেই হতো। দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র শুধু পরিবর্তন হয়নি, বদলে গেছে এ অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও।
ভারত পাকিস্তানকে ভাঙ্গেনি। বিপন্ন মানুষকে রক্ষায় চেষ্টা করছে মাত্র। এটা স্পষ্টত জনগণের যুদ্ধ। যেটা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একতাবদ্ধ হয়ে লড়েছিল, দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে মাত্র। পুরো বিশ্বেই একাত্তরে রাজনৈতিক জটিলতা ছিল। অপারেশন সার্চ লাইট ছিল, একটি টার্নিং পয়েন্ট।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে নিতে হবে দুই দেশের সম্পর্ক। কারণ, আমাদের দ্বায়িত্ব বেড়েছে বহুগুণ বেশি। বঙ্গবন্ধু না থাকলে এই দেশ নয় মাসে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। এটা ভুলে গেলে চলবে না, কত সময় দেশটিকে স্বাধীনতার জন্যে লড়ে গেছেন। এখন, বাইরে কোথাও আর বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। এটা মর্যাদার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,যৌথ বাহিনীর হামলা শুরু করার দিনটি ছিল, প্রত্যেক বাঙালির আনন্দের দিন। ৬ই মার্চ ঐতিহাসিক দিন। প্রকৃত মৈত্রী দিবস। বোঝা গিয়েছিল স্বাধীনতা সন্নিকটে। ভারত, শুধু একটি স্বাধীন দেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। ভারতের সঠিক ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত ছিল।
তিনি বলেন, নদী পথ, রেল পথ, আকাশ পথ সমানে চালু হোক এটা বাংলাদেশের প্রত্যাশা। যত ধরণের ছোট ছোট সমস্যা আছে, আলোচনা করে সমাধান করে এগিয়ে যাবে।