সংখ্যায় তারা ১১ থেকে ১২ জন, আন্ত:জেলা পেশাদার ডাকাত দল। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট গাড়ীর ব্যাটারী। রাখেনা কোন প্রমাণ, প্রয়োজনে খুন করতেও হাত কাপে না এই চক্রটির। ভাসানটেকে নৈশপ্রহরী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৩ জন এমনসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের কাছে।
পুলিশের সন্দেহের তীর ছিল সিসিটিভি ফুটেজে দেখা কয়েক ব্যক্তি আর পিকআপের দিকে।
গত ১৫ মে তারিখ রাতে নগরীর ভাসানটেক এলাকায় একটি দোকানের তালা ভাঙার সময় বাধা দেয় নাইটগার্ড সুজন। ডাকাতদের রড়ের আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। এই সময় হামলার মুখে পরলেও ভাগ্যগুণে বেঁচে ফেরেন আরেকজন। তারপর লুটে নেয়া হয় সে দোকানে থাকা ২৭টি গাড়ীর ব্যাটারী।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যর্থ হয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ঢাকার বাইরে থেকে ঘটনার সাথে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ব্যাটারীগুলো।
পুলিশ বলছে, ধূর্ত চক্রটি প্রায় কোন প্রমাণ ছেড়ে যায়নি। এমনকি ডাকাতির সময় ব্যবহার করা পিকআপে ব্যবহার করেছে একাধিক নাম্বার প্লেট।
ভাসানটেক থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ক্লুলেজ ঘটনা। এখানে আমরা কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলাম না যে, কোন পদ্ধতিতে এগুবো। নাই কোন মোবাইল ডিভাইজের তথ্য, নাই কোন সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। আসলে আমরা এক পর্যায়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। এ্যানালগ পদ্ধতিতে অবলম্বন করে আসলে এই ক্লুলেজ ঘটনাকে সম্পূর্ণ উদঘাটন করতে পেরেছি।
মালামাল বিক্রির ঝুঁকি এড়াতে শুধুমাত্র গাড়ীর ব্যাটারী ডাকাতি করতো তারা। পাশাপাশি লুট করতো নগদ টাকা।
ভাসানটেক থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এরা নির্দিষ্ট ব্যাটারিকে টার্গেট করতো, এতে ঝুঁকি কম। তাদের ডাকাতির ধরন হচ্ছে যে, তারা যখন ডাকাতি করবে কোন সাক্ষী-প্রমাণ রাখবে না, কোন প্রত্যক্ষদর্শীরা রাখবে না। যাকে পাবে তাকেই মেরে ফেলবে। জাফর নামে একটি ছেলে আছে, সেই মূলত এই ১২ সদস্যের মূল নেতা। আরেকজন সদস্য আছে সে সেকেন্ড-ইন কমান্ড। সে যানবাহনের সুবিধা দিয়ে থাকে।
বাকী পলাতক আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।