পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, উর্বর ভূমি সংরক্ষণের পাশাপাশি সবুজ অর্থনীতি ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। এজন্য বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব মরুকরণ ও খরা দিবস ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার শুষ্কতা ও মরুকরণ প্রতিরোধে পানির অপ্রাপ্যতা, বন উজাড়, ভূমিক্ষয় এবং পরিবেশের ওপর মানুষের অপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। ইউএন কনভেনশন টু কমব্যাট ডিসার্টিফিকেশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ সময় ভূমির অবক্ষয় রোধে ইট ভাটায় সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পরে সরকারি কাজে আর মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, সরকার গত বছর সাড়ে আট কোটি গাছ রোপণ করেছে এবং এ বছরও আট কোটি গাছ রোপণ করবে। যেকোনো প্রয়োজনে একটি গাছ কাটা হলে পাঁচটি গাছ লাগানোর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। এসব উদ্যোগ ভূমির ক্ষয়রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক সচিব অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, পরিচালক ড. মু সোহরাব আলী, অধিদফতরের এসএলএম প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. শোয়েব প্রমুখ।