বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পুলিশ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা ও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪শ’ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান মোল্লা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের অভিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান মোল্লা দায়িত্ব পালন করেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। গণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সসদ্যরা ২টি ভটভটি যোগে রওনা দেন। এ সময় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন টুটুল ও মোতাহার হোসেনের কর্মী সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে সবাইকে ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে তারা ৬টি ফাঁকা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ২টি ভটভটি ও পুলিশের ১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। এরপর দুই প্রার্থীর আরও কয়েকশ সমর্থক ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ২০৫ রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবরুদ্ধ অবস্থায় পুলিশ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চলছে।