দেশ থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য বুধবার আফগানিস্তানের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। একই দিন গানির পালানো নিয়ে ভিন্ন একটি তথ্য দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
আফগানিস্তানের টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতেও গানি বলেছিলেন, তিনি মরণপণ যুদ্ধ করবেন।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের কাবুল দখলের মুখে পালিয়ে যান গানি। জনগণকে বিপন্ন অবস্থায় রেখে দেশ ত্যাগ করে দেশ-বিদেশে সমালোচিত হন তিনি।
ব্লিঙ্কেনের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনারা কি প্রেসিডেন্ট গানিকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছিলেন?’ উত্তরে বলেন, ‘পালানোর আগের রাতের আলাপে গানি বলেছিলেন, তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত।’
এ দিকে বুধবারের বিবৃতিতে গানি বলেন, ‘কাবুল ছাড়া ছিল আমার জীবনের জন্য সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।’
এরপর দুঃখ প্রকাশ করে গানি জানান, বিষয়টা ভিন্নভাবে শেষ করতে না পারার জন্য তিনি দুঃখিত।
আরও জানান, নিজের লোকদের পরিত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না। তবে পালিয়ে যাওয়ায় ছিল একমাত্র পথ।
টুইটারে শেয়ার করা বিবৃতিতে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্যাপক সহিংসতা এড়াতে দেশ ত্যাগ ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
গানি বলেন, ‘আমি প্রাসাদের নিরাপত্তার তাগিদে পালিয়ে গিয়েছিলাম। ১৯৯০ দশকের গৃহযুদ্ধের সময় শহরের রাস্তা-ঘাটে যে যুদ্ধ হয়েছিল তেমন আরেকটি যুদ্ধকে এড়াতে আমাকে পালিয়ে যাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও লেখেন, কাবুল এবং ছয় মিলিয়ন নাগরিককে রক্ষা করার জন্য তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
গানি জানান, আফগানিস্তানকে গণতান্ত্রিক, উন্নতিশীল ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি গত ২০ বছর নিবেদিত ছিলেন।