পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফ্রিকান দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কারে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে অলোচনার জন্য বাংলাদেশ সেখানে একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পাঠাতে পারে। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব রাতসিমান্দাও তাহিরিমিয়াকাদাজা মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাহিরিমিয়াকাদাজার সাথে ২১তম ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) কাউন্সিল অব মিনিস্টারস ও সংশ্লিষ্ট সভায় অংশ নিতে আসা মাদাগাস্কার সরকারের কর্মকতরা ছিলেন। বৈঠকে উভয় রপক্ষই বীজ প্রযুক্তি ও কৃষি উৎপাদনে সহযোগিতাসহ কৃষি ও খাদ্য খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আইটি ও আইসিটি সেক্টরে দক্ষতা রয়েছে এবং সরকার জনগণকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। উভয় দেশ তথ্যপ্রযুক্তি ও আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা এবং মাদাগাস্কার বাংলাদেশ থেকে আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মাদাগাস্কারের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন।
মাদাগাস্কারের স্থায়ী সচিব প্রস্তাব করেন উভয় দেশ সামুদ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সামুদ্রিক পুষ্টি আহরণে সহযোগিতাসহ সামুদ্রিক অর্থনীতিতে সহযোগিতা স্থাপন করতে পারে। তিনি বলেন, মাদাগাস্কার সরকার বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। তিনি আইটি ও আইসিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জিটুজি সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন।
মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উল্লেখ করেন, উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি আইওআরএ-তে উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। স্থায়ী সচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন আইএমও’র পাশাপাশি মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে মাদাগাস্কারের সমর্থন চান।