রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

মাদ্রাসায় মারধরের শিকার শিশুটির লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
  • ৩১২ পাঠক পড়েছে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসায় আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা মো. ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপবিষয়ক শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ওই শিশুর লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়।

রোববার মারধরকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানিকালে আদালত বলেন, মারধরের শিকার শিশুটির লেখাপড়া ভয়ভীতির কারণে বন্ধ হয়ে না যায়, এটি যেন তারা খেয়াল রাখে।

হাইকোর্ট আরও বলেন, মাদ্রাসায় নির্যাতন, বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, এমনকি যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। এ বিষয়ে অনেক আগে থেকে আদালতের নির্দেশনা আছে। নির্দেশনাগুলো সব জায়গায় যাতে কার্যকর হয়। কমিটি গঠনসহ আদালতের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যাতে সচেষ্ট থাকে।

ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন ১১ মার্চ আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ওই ঘটনায় নেওয়া পদক্ষেপ রোববারের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে মৌখিক আদেশ দেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপসংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়। তার ধারাবাহিকতায় আজ রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার পদক্ষেপসংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ইতোমধ্যে মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা মো. ইয়াহিয়াকে নিম্ন আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বাসায় তিনজন পুলিশ মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রথমে শিশুটির মা-বাবা মামলা করতে চাননি বলে পর্যবেক্ষণ এসেছে।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, কওমি মাদ্রাসা আবাসিক। আদালত বলেন, তাদের নিয়ম অনুযায়ী চলে। যেহেতু মামলা হয়ে গেছে, আইন অনুসারে মামলা চলবে।

প্রসঙ্গত, হেফজ বিভাগের শিশুটির জন্মদিন উপলক্ষে তাকে দেখতে ৯ মার্চ বিকালে মা-বাবা মাদ্রাসায় আসেন। তারা চলে যাওয়ার পরপরই শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেধড়ক মারধর করেন।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580