মানিকগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অ্যাম্বুলেন্স জলাশয়ে ডুবে মামা ও ভাগিনা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মিতরা এলাকার কালীবাড়ী মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পিলারচর এলাকার শাহিন প্রামাণিক ও তার ভাগনে রফিক খান।
নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিম্যান ইমরান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দিবাগত রাতে গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ফরিপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে একটি অ্যাম্বুলেন্স।
রাত ৩টার দিকে মিতরা এলাকার কালীবাড়ী মোড়ে আসা মাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের জলাশয়ে ডুবে যায়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র মতে, দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটিতে চালক ও তার সহকারীসহ মোট সাত আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন তৎক্ষণিক বেড়িয়ে আসতে পারলেও পেছনের সিটে থাকা দুই যাত্রী গাড়ির ভিতরে আটকা পড়ে পানিতে ডুবে মারা যান।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানির নিচে ডুবে থাকা গাড়ির ভিতর থেকে আটকেপড়া দুই যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের এক যাত্রী বলেন, রাত ২টার দিকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে যাবার জন্য গাবতলী টার্মিনালে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কোনো যানবাহন পাচ্ছিলাম না; তখন একজন দালালের মাধ্যমে এই অ্যাম্বুলেন্সটিতে বাড়ি ফেরার জন্য উঠি।
অ্যাম্বুল্যান্সটিতে চালক ও তার সহকারীসহ মোট সাতজন ছিলাম। গাড়িটি হঠাৎ রাস্তা থেকে পানির মধ্যে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চালক আর তার সহকারী বের হয়ে যায়। আমরা বাকি যে তিনজন বেঁচে গেছি আমাদের সবার বাড়ি ফরিদপুরে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তিনজন অ্যাম্বুলেন্সটিতে ওঠার আগেই নিহত ওই দুজন গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় আমাদের সিটের পাশের জানালা খোলা ছিল বিধায় আমরা তিনজন গাড়ি ডুবে যাওয়ার আগেই বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হই। যে দুজন মারা গেছেন; উনাদের সিটবেল্ট বাঁধা ছিল তাই ওনারা চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি।