বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। সেই একই চেতনাকে বুকে ধারণ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে মানুষের জীবন-জীবিকা গভীর সংকটাপন্ন, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দেশে এখন এক ভয়ানক দুঃসময় বিদ্যমান।’
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। ৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংহত করেছিল। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে এ দেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে উঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি। আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশ, জনগণ, স্বাধিকারসহ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনাবিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে। যিনি ‘৭১ এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘অবৈধ সরকারের চরম প্রতিহিংসার শিকার দেশনেত্রীকে বন্দি রেখে দেশকে আবারও স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে যে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে তা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে।’