মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
তিনি বলেন, আসামি কামরুল শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও মো. কালুর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ৫ জুলাই আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে আজ সোমবার বিকেলে তিনজনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশটি স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে আসামি মুছা। মুছার খোঁজ এখনও মেলেনি। মুছা বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া আসামি কালুও ঘটনার পর থেকে পলাতক। তবে আরেক আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা জামিনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় ছেলে সামনেই দাঁড়ানো ছিল। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১১ মে ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর অর্থাৎ মিতুর বাবা। মামলায় আসামি করা হয় আরও সাতজনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।
এরপর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও জবানবন্দি দেননি তিনি। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার।