রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রওশন আরা (৭০) নামের আরও একজন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান৷
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রওশন আরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারা গেছেন। অন্যদের অবস্থাও ভালো না। তবে আমরা আশা করছি, তারা সুস্থ হয়ে উঠবে।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সুমন (৪০) ও শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা যান। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় শফিক ও রাত আড়াইটায় সুমন মারা যান বলে জানিয়েছিলেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
আইউব হোসেন সকালে বলেন, মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সাতজন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে চারজনকে আইসিসিতে ভর্তি করা হয়েছিল। গভীর রাতে আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে সুমন ও ১৫ নম্বর বেডে শফিক মারা যান। শফিকের শরীরের ৮৫ শতাংশ এবং সুমনের ৪৫ শতাংশ পোড়া ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ১৪ নম্বর বেডে রিনা আক্তার নামের একজন মারা যান। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছিল।
আবাসিক সার্জন জানান, শিশুসহ তিনজন ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরও একজন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
গত বুধবার দিবাগত রাতে মিরপুর-১১ নম্বরের সি ব্লকে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন নওশীন (৫), শফিক (৩৫), সুমন (৪০), রওশন আরা (৭০), রিনা (৫০), নাজনীন (২৫) ও রেনু (৩৫)। তাদের মধ্যে নওশীনের ১৫ শতাংশ, শফিকের ৮৫ শতাংশ, সুমনের ৪৫ শতাংশ, রওশন আরার ৮৫ শতাংশ, রিনার ৭০ শতাংশ, নাজনীনের ২৭ শতাংশ ও রেনুর ৩৮ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছে।