তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচণ্ডভাবে সমালোচিত।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই। বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচণ্ডভাবে সমালোচিত। যেই দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিবের হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ার বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোনো একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়, সেই দলের মহাসচিবের এসমস্ত বক্তব্য হাস্যকর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কালুরঘাটে যে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এই ট্রান্সমিটারটা আগে যেখানে ছিল, সেই কালুরঘাট বেতারের ট্রান্সমিশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে।
এ সময় হাছান মাহমুদ জানান, সেখানে একটা ছোট্ট যাদুঘর করে রাখা হবে। সেখানে স্বাধীনতা পার্ক স্থাপন করা হয়েছে, স্বাধীনতা পার্কের সাথেই যেখান থেকেই এই ট্রান্সমিটার দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানেই থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ বেতারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেখানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্র। কারণ এই বেতার কেন্দ্র থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে এনে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বেতারের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।