বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

মুজিবনগর সাব রেজিস্ট্রারদের সীমাহীন অণিয়ম-দুর্নীতি

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৭৭ পাঠক পড়েছে

দুই সাব রেজিস্ট্রার লুটেপুটে খাচ্ছে কেরাণীগঞ্জ

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাব রেজিস্ট্রাররা সীমাহীন অণিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তি নামে খাস জমি নিবন্ধন, শ্রেণী পরিবর্তন করে ও ভূয়া খাজনা খারিজ নিয়ে জমি নিবন্ধন করছেন। এতে একদিকে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে জনগন নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

এসব দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রারদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গণি মন্ডল ও কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ সাব রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী, দোহারের সাব রেজিস্ট্রার মাহামুদা বাবলী, কালামপুরের সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল মতিন, টঙ্গীর সাব রেজিস্ট্রার নুরুল আমীন তালুকদার, সাটুরিয়ার সাব রেজিস্ট্রার আজাহার আলী, ঢাকা সদর রেকর্ড রুমের সাব রেজিস্ট্রার মোঃ ফারুক হোসেন, বগুড়ার গাবতলীর সাব রেজিস্ট্রার আবুল বসর মিয়া, লাঙ্গলকোটের সাব রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম, পটিয়ার সাব রেজিস্ট্রার মোঃ শাহীন হাসান, চট্টগ্রাম সদর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম সদর রেকর্ড রুমের সাব রেজিস্ট্রার আবু তাহের মোঃ মোস্তফা, শ্রীপুরের সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রশিদ মন্ডল, বৈদ্দ্যের বাজারের সাব রেজিস্ট্রার আ.ন.ম বজলুর রশীদ ও রংপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার রামজীবন কুন্ড।

এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও দুদকে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। তারপরও এরা দুর্নীতি করে যাচ্ছেন প্রতিযোগীতামূলক হারে। এ ক্ষেত্রে রূপগঞ্জ পূর্ব থেকে বদলী হয়ে আসা চট্টগ্রাম সদরের সাব রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামান ও কেরাণীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার মোঃ ওসমান গণী মন্ডল ও শাহজাহান আলী এখন ঘুষ-দুর্নিতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এরা সকলেই ওমেদার, নকল নবীস, মোহরার ও দলিল লেখক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ম লংঘন করে দলিল নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

কালামপুরের সাব রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন নকল নবীশ পারুল আক্তারের মাধ্যমে সকল ঘুষের টাকা আদায় করে থাকেন বলেও সরেজমিনে দেখা গেছে। হেবার ঘোষণা দলিলে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে থাকেন। সাফ কবলা দলিলে সকল কাজগপত্র সঠিক থাকার পরও দলিল মূল্যের ১% ও দলিল প্রতি ২ হাজার টাকা রেসেস্তা ফি ছাড়া দলিল করেন না বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন জানান আমি সরাসরি কোন টাকা নেই না। আমার নাম করে যদি কেউ নেয় সেটা তার ব্যাপার।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580