সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্ত্রী।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ৯৯৯ থেকে বিষয়টি জানানো হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশকে। এরপরই পুলিশের একটি টিম মুরাদের বাসায় যায়।
এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনেন তিনি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ৩০/এ ভবনে সপরিবারে থাকতেন মুরাদ হাসান। ভবনটির চার তলায় তার বাসা, আর দ্বিতীয় তলায় অফিস। মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানোর আগে তার বাসায় নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল, কিন্তু এখন সুনসান নীরবতা।
সম্প্রতি এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে ডা. মুরাদের অশালীন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এই সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করলে ঐদিন রাতেই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একইদিনে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় মুরাদ হাসানকে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানকে তার নিজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া মুরাদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলেও তাকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে তাকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু দুবাইও তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।