স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্রোরেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হলে দেশের চিত্র পরিবর্তন হয়ে যাবে।
বুধবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে শক্তিশালী করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে যেকোনো সরকারি সুবিধা নেওয়া এবং দেওয়া সহজ হয়। যত দ্রুত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে ততো বেশি আমরা আপডেট থাকব। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম করার অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন এবং বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে সেগুলোরও সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড দেওয়া এবং ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিনামূল্যে করে দেওয়া যায় কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখবে সরকার।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় কমিটি রয়েছে। সেখানে এ বিষয়টি উত্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি ভেরা মেন্দোনকা বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে রেজিস্টার জেনারেল মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
পরে, মন্ত্রী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক এবং ক্রেস্ট দেন।
এবছর জাতীয় জন্ম মৃত্যু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’।