রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মেয়ের কবরের পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন চিত্রনায়ক শাহীন আলম। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার মরদেহের দাফন করা হয়েছে।
নায়কের ছেলে ফাহিম আলম জানান, তার বাবার দাফনের সময় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চলচ্চিত্রেরও অনেকে হাজির হয়েছিলেন শাহীন আলমকে শেষ বিদায় জানাতে। এর আগে বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে এ অভিনেতার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাহিম জানান, সকালে শাহীন আলমের মরদেহ তার মেয়ের কবরের পাশে ভাইয়ের কবরে দাফনের জন্য বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মেয়রের অনুমতির জন্য কবরস্থান সংশ্লিষ্টরা মরদেহ দাফনে বাধা দেন। এজন্য় কিছু সময় কবর স্থানের সামনে অবস্থান করতে হয়েছে মরদেহ নিয়ে। পরে জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবেই দাফন শেষ হয়েছে।
সোমবার রাত ১০:০৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন শাহীন আলম। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শাহীন আলম ভাই কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। সোমবার তিনি হাসপতালেই মারা গেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
জানা যায়, কিডনিজনিত জটিলতা গুরুতর হলে গত সপ্তাহে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ মার্চ থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন শাহীন আলম।
১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’ ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়।
শাহীন আলম অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগবস, বাবা ও বাঘের বাচ্চা।