স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ-সম্পদকে যারা বড় করে দেখেছে তারা কেউ ক্ষমতায় টিকতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় যুবলীগ নেতাদের সতর্ক করে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে গিয়েও যারা লোভের বশবর্তী হয়ে অর্থ-সম্পদকে বড় করে দেখেছে, তারা কিন্তু টিকতে পারেনি।’
প্রসঙ্গত, নানা বিতর্ক ছাপিয়ে ও শুদ্ধি অভিযানের পর যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে নেতৃত্বে আসেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হাসান খান নিখিল। তাদের নেতৃত্বে এটিই প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, যা আজ পালন করছে যুবলীগ।
যুবলীগের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু বক্তৃতা-স্লোগান নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে একজন মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না। যেটা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।’ সরকারের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ, জিয়া ও খালেদা জিয়া। প্রত্যেকে নিজেদের ভাগ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মানুষের জন্য কিছু করেননি। আওয়ামী লীগই মানুষের জন্য কাজ করেছে, করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমি নাকি বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না। এখন আমরা ক্ষমতায় আছি বলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারছি। এ জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।’
যুবকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে যুবলীগ। দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগ আসবে, যাবে। নিজেদের শক্ত থাকতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। করোনায় আমাদের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল।’ ‘করোনায় যুবলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীবহন, লাশ দাফন, কৃষকের ধানকাটা ও সবজি বাজারজাতকরণে সহায়তা এভং এই শীতে কম্বল বিতরণ করেছে। এ জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ জন্য আট লাখ মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাচ্ছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি। তরুণ সমাজের ব্যবসায় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা রেখেছি। সহজে তারা ঋণ নিতে পারে। তরুণদের ট্রেনিং দিলেই ভালো করবে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। কারণ আমরা মনে করি, তারুণ্যই শক্তি।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন-যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।