স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছেন। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজ দিতে পারব।

রবিবার সকালে সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশে আছেন তাদের এখন দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা যদি সচেতন থাকি, আক্রান্তরা যদি দ্রুত চিকিৎসা নেয় তাহলে মৃত্যুর হার শূণ্যে নেমে আসবে। টিকা নেওয়া থাকলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, নিরাপদে থাকবে। যদি আক্রান্তও হয় চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এখন অনেক উন্নত। তিনি বলেন, জেলা সফরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বাইরে থেকে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ইতোমধ্যে ৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টিকা কর্মসূচী আরও বেগবান করা হয়েছে। আমরা প্রথম ডোজ ৭ কোটি দিয়েছি। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ৪ কোটি দেওয়া হয়েছে। আজ টিকা প্রদান করা হলে সারাদেশে ১১ কোটি ডোজ প্রদান করা হবে। ওমিক্রনকে যদি প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে টিকা নিতে হবে।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।