আমেরিকার সঙ্গে চীন সুস্থ প্রতিযোগিতা চায়। তবে তাদের সঙ্গে যে কোনো যুদ্ধেও ভয় পায় না দেশটি। রাজধানী শহর বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এমন মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি তাদের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন মোটেই চুপ থাকবে না। সম্প্রতি তাইওয়ান, হংকংয়ের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধাংদেহী আচারণ এবং দেশটির সংখ্যালঘু উইঘুরদের প্রতি বেইজিংয়ের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ‘কে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, চীন তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করলে যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির জবাবে সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমেরিকা যদি যুদ্ধ শুরু করে তাহলে চীন তাতে মোটেই ভীত হবে না এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। তবে দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ককে বেইজিং স্বাগত জানায় এবং তাতে দু’পক্ষ লাভবান হতে পারে। ওয়াং ই বলেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে চীন-মার্কিন সম্পর্ককে কৌশলগত ভুল অবস্থানে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি প্রতিযোগিতা ইতিবাচক হয় তাহলে দুই পরাশক্তির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো ক্ষতি নেই।
তাইওয়ানের ব্যাপারে বেইজিংয়ের অবস্থান সম্পর্কে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চীন সরকার তাইপেকে বেইজিং প্রশাসনের অধীনে আনার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাইওয়ান পথভ্রষ্ট বালকের মতো উল্লেখ করে ওয়াং ই বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা (তাইওয়ান) ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হবে। তাইওয়ানকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার না করতে আমেরিকার প্রতি সতর্ক উচ্চারণ করেন তিনি।
তাইওয়ানের পক্ষে লড়াই করার অধিকার রাখে বলে আমেরিকা যে বক্তব্য দিয়েছে সে সম্পর্কে ওয়াং ই বলেন, তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণের এই বক্তব্যে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে আমেরিকা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক প্রথা লঙ্ঘন করছে। আমেরিকার এই ধরনের আচরণের কারণে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট