স্টাফ রিপোর্টার : সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার (নন–সাবমিশন) মামলায় বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাসের রায় দেন। রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এ রায়কে যুগান্তকারী‘। ইশরাক বলেন, আপনারা জানেন– ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের অবৈধ সরকার মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিনের সময় একটি নোটিশ দেওয়া হয় সম্পদ বিবরণী দাখিলের। তখন আমি ছাত্র ছিলাম। দেশে ছিলাম না। আজকে যে রায়টি দেওয়া হয়েছে অবশ্যই যুগান্তকারী রায়। এর মাধ্যমে আমরা যে বলে আসছি, গত ১৩ বছর ধরে বিচার বিভাগকে কুক্ষীগত–দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং বিচার বিভাগকে একটি রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই জায়গায় আমি বলবো, জনগণের বিজয় হয়েছে, দেশবাসীর বিজয় হয়েছে। দল–মত–নির্বিশেষে আমরা সবাই একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি, যে জায়গায় বিচার বিভাগকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দলীয়করণ এবং রাজনীতিকরণের মাধ্যমে। আমরা আশাবাদী, এটি একটি পদক্ষেপ যে এ রায়ের মাধ্যমে আমরা আগামীতে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আলাদা করে একটি ন্যায়বিচারের জায়গা, যেটা মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত–জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই জায়গায় আবার নিয়ে যেতে পারবো। তিনি আরও বলেন, সরকার যতই অপচেষ্টা করুক, বিচার বিভাগকে প্রভাবিত ও দলীয়করণের কিংবা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার, কিন্তু এখনো বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনের ওসব জায়গায় ন্যায়পরায়ণ মানুষ রয়েছেন। আজকের যিনি বিচারক তিনি শত ন্যায় পরায়ণ পথে হেঁটেছেন বলে আমি মনে করতে চাই, তিনি সৎ সাহস নিয়ে রায় দিয়েছেন। এতে আমরা আশাবাদী হতে চাই, দেশে যে অপশাসন ও দুঃশাসন চলছে, সেখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবো। এদিকে রায় ঘোষণার আগে এদিন সকালে সাদা পাঞ্জাবি–পায়জামা, মুখে মাক্স এবং হাতে গ্লোভস পরে আদালতে উপস্থিত হন ইশরাক হোসেন। তিনি অন্য একটি আদালতে বসে ছিলেন। দুপুর দুইটার দিকে রায় ঘোষণা শুরু হয়। তার আগে তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হন। রায় পড়া শুরু হলে তিনি আসামির কাঠগড়ায় গিয়ে একটি টুলে বসে ছিলেন। খালাসের রায় পাওয়ার পর কাঠগড়া থেকে নেমে যান। এসময় আঙুল উঁচিয়ে বিজয় সূচক চিহ্ন দেখান। আইনজীবীদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।