প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মোটামুটি ভালোভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। আমাদের অর্থনীতি বেশ সচল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সারাবিশ্বের মত আমাদের দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাপের প্রকোপ পড়েছে। আমরা এটাকে যে কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবাইকে বলছি, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমরা গণপরিবহনে যানবাহনে চলাচল বিধি করে দিয়েছি। তাছাড়া যারা বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে যাতে জনসমাগম না ঘটে স্বল্প পরিসরে হয় সে দিকে নজর দিতে হবে।
এসময় তিনি সবাইকে মাস্ক পরে ঘরেরবাইরে যাবার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা অফিস আদালতে যাতে জনসমাগম না ঘটে সেজন্য রোস্টার ভিত্তিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে এই অধিবেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ। সংসদ সচিবালয়ের অধিবেশনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের সংসদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সংসদ ভবনে দর্শনার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অধিবেশন চলাকালে সংসদে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এ জন্য সাংসদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসদের মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চলতি সংসদের সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী (কয়েস) গত ১১ মার্চ মারা গেছেন। রেওয়াজ অনুযায়ী, শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হবে।