রাজধানীর কদমতলীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন আরাফাত (১৮) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কদমতলী শনির আখড়া আর এস টাওয়ারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নোয়াখালি বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের আ. আলিমের ছেলে ইয়াসিন। ৩ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। পরিবারের সাথে থাকতো শনির আখড়া পাটেরবাগ শিয়া মসজিদ ব্যাংক কলোনিতে। শনির আখড়ায় আয়শা মোশারফ মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতো ইয়াসিন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাইদ হোসেন সামির বলেন, শনির আখড়ায় পাশাপাশি আয়শা মোশারফ মার্কেট ও আর এস টাওয়ারে কাজ করে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে দোকানে কাজ শেষে একই সঙ্গে বাসায় ফেরার জন্য রওয়ানা হয় ইয়াসিন, সামির ও জীবন ৩ বন্ধু। তখন আর এস টাওয়ারের সামনে তাদেরই পূর্বপরিচিত প্রিন্স, শুভ ও টুটুল সহ ২০-২৫ জন তাদের পথ রোধ করে। তারা ইয়াসিনদের কাছে জানতে চায়, কেন তারা প্রিন্সদের ছোটভাইকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিলো। এই কথা বলতে বলতে তারা তাদের ৩ জনকে মারধর করতে থাকে। পরে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে আর এস টাওয়ারের সামনে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তারা ইয়াসিনের শরীর থেকে রক্ত ঝড়তে দেখে। তখন তার পরনের জামা খুলে দেখতে পায় তার বুকে, পিঠেসহ কয়েকটি ছুরিকাঘাত। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানীয় দেশবাংলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ইয়াসিনের অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
সামির আরওে জানায়, প্রিন্স, শুভরা পলাশপুর রেনেসা গলিতে থাকে। ইয়াসিনও আগে ওই এলাকাতে থাকত। কিছুদিন আগে রোজার মধ্যে ওই এলাকার এক জুনিয়র ইয়াসিনদের সামনে ধুমপান করে। তখন ইয়াসিনসহ তারা ওই ছেলেকে চড় থাপ্পর দেয়। সেই ঘটনার রেশ ধরেই তারা বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উপর ধারালো অস্ত্র সহ আক্রমণ করে।
নিহত ইয়াসিনের ভাই আব্দুল হাই সোহেল জানান, রাতে আমরা শুনতে পাই ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর হাসপাতালে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সে মারা যায়। ঘটনার সময় যারা ওর সাথে ছিল, তাদের কাছে শুনেছি সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে পাশের এলাকার ছেলেরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ইয়াসিনের বুক, পিঠসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।