বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

রামপুরায় নাশকতার পরিকল্পনায় ছিল নিহত মাঈনুদ্দিনও: র‌্যাব

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৯৫ পাঠক পড়েছে

রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী মইনুদ্দিন দুর্জয় ঘটনার দিন একটি নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বুধবার দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরায় রাস্তা পার হতে গিয়ে নয়; বরং ওই বাসের ‘গতিরোধ’ করতে গিয়ে বাস হেল্পারের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট জন।

খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৯ নভেম্বর গাজীপুর চৌরাস্তায় অনাবিল পরিবহনে উঠতে গিয়ে বাসের হেলপার, চালকের সঙ্গে ঝগড়া হয় দুর্জয়ের ভগ্নিপতি সাদ্দামের। সাদ্দাম পরে ওই চালক ও হেলপারকে শিক্ষা দিতে রামপুরা এলাকায় তার শ্যালক দুর্জয় ও পরিচিতজনদের সহযোগিতা চান।

দুর্জয় ও অন্য সহযোগীরা সাদ্দামের পরিকল্পনা মোতাবেক রামপুরা টিভি সেন্টারে জড়ো হন। আগে থেকেই বাসটির নাম্বার জেনে থাকায় পরিকল্পনাকারীর রামপুরার পলাশবাগ মোড়ে বাসটির অবস্থান শনাক্ত করেন।

তখন মাঈনুদ্দিন দুর্জয় বাসে উঠে বাসটির গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। পরে হেল্পারের সঙ্গে হাতাহাতি করতে গিয়ে তিনি সড়কে পড়ে যান। বাসটির চাক্কায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

তারপর বেশকয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

মাঈনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ক্রমাগত প্রাণহানির ঘটনায় সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের আভিযানিক দল বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।

গত মঙ্গলবার তারা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসে আগুন দেওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী মনির হোসেন (৫৪), হাসান পারভেজ (১৯), আলাউদ্দিন সিফাত (২৫), নাঈম হাসান মীরকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, মনিরের নির্দেশনা অনুসারে পারভেজ, সিফাত ও মীরসহ আরও ১৫-২০ জন আলাউদ্দিন সিফাতের গ্যারেজে জমায়েত হন। পরে সেখানে আগে থেকেই জমা করা অকটেন (যা পানির বোতলে ভরা ছিল) নিয়ে রামপুরার দিকে যান।

সেখানে অনাবিল বাসটি আসা মাত্রই তার গতিরোধ করার চেষ্টা করেন।

দুর্ঘটনাবশত দুর্জয় মারা ঘটনাস্থলে মারা গেলে তারা রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় উত্তেজিত জনতা। তখন তারা বাস ভাংচুর করার পর আগুন ধরিয়ে দেন।

মনির ঘটনাস্থলে না থাকলেও ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে’ অপরাধীদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে দাবি করেন র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন।

তিনি বলেন, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল মনির। যিনি রাষ্ট্রবিরোধী একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত বা সমমনা বলা যায়; যারা বিভিন্ন সময়ে দেশের বাইরে থেকে ও দেশের ভেতরে ভুল ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে জনমনে উদ্বেগ ছড়ায়।

মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মনির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তিনি ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে এই নাশকতামূলক করম্কাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ৭টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580