রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৫ জন, করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ ২ জন এবং করোনার উপসর্গে ৮ জন মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে জুলাই মাসের ১৪৫ দিনে রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ২৮৯ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মারা যান ১৪ জুলাই ২৫ জন ও সবচেয়ে কম ৪ জুলাই ১২ জন। এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গে মারা যান ৪০৫ জন।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের ১০ জন রাজশাহীর (পজিটিভ ২, উপসর্গে ৬, নেগেটিভ হওয়ার পর ২), নাটোরের ২ (পজিটিভ ১, উপসর্গে ১) জন, নওগাঁ ১ (পজিটিভ ১) এবং পাবনা ১ (উপসর্গে ৫) ও মেহেরপুরে ১ (পজিটিভ) জন। এদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো মৃত্যু নেই। নতুন মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এদের মধ্যে ৭ জনের বয়স ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর।
তিনি বলেন, আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের ৪৫৪ বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪৯৮ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভর্তি ছিলেন ৫০৭ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ২৬৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪, নাটোরের ৮০, নওগাঁর ৪০, পাবনার ৫৫, কুষ্টিয়ার ১৫, চুয়াডাঙ্গার ২ জন, জয়পুরহাটের ৩, সিরাজগঞ্জের ১ ও বগুড়ার ২ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ২৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪, নাটোরের ১২, নওগাঁর ৮, পাবনার ৬, কুষ্টিয়ার ৩ ও জয়পুরহাটের ১ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬২ জন।
পরিচালক জানান, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪৯৮ জনের মধ্যে ২৪২ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২০০ জন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ইনফেকশনসহ পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৬ জন।