ইইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক বৈঠকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি এবং যুদ্ধাপরাধের সন্দেহভাজনদের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েনের বরাত দিয়ে বিবিসর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যাকেজটির লক্ষ্য ছিল ইউরোপের ক্ষতি কম করে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানো।
রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি পর্যায়ক্রমে ছয় মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে এবং বুচা ও মারিওপোলে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সামরিক কর্মকর্তারাও নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবেন বলেও তিনি জানান।
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভন ডার লেইন বলেছিলেন, এটি ক্রেমলিনের যুদ্ধের সমস্ত অপরাধীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পাঠায়। আমরা জানি আপনি কে এবং আপনাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার তেল গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর বিষয়ে আলোচনা করছে ইইউ। এমনকি তারা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এবার তারা ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসের মধ্যে অপরিশোধিত তেল এবং পরিশোধিত পণ্যগুলি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে।
কমিশনের সভাপতি বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে রাশিয়ান তেল বন্ধ করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। প্যাকেজটি প্রথমে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে স্বাক্ষর করা হবে। স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরির মতো রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোকে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে অতিরিক্ত এক বছর সময় দেওয়া হবে।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজটি বুদাপেস্ট সমর্থন করে না।
অন্যদিকে স্লোভাকিয়ার অর্থনীতি মন্ত্রী বলেছিলেন, তার দেশ তিন বছরের ট্রানজিশন পিরিয়ড চায়।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেছেন, তিনি পাইপলাইনের ক্ষমতার সমস্যা মোকাবেলায় দুই থেকে তিন বছরের অব্যাহতি চাইবেন।