বন্দরনগরী মারিউপোলের একটি বৃহৎ ইস্পাত কারখানার ভেতরে অবস্থান করা ইউক্রেনীয় বাহিনীর কোনো ক্ষতি হতে শান্তি আলোচনা থেকে সরে আসবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, মারিউপোলের যোদ্ধাদের হত্যা করলে শান্তি আলোচনা আর চালিয়ে যাবে না কিয়েভ।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব কথা বলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ান সেনারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এ হামলা শুরু করে। এক সঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এ হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
অভিযান শুরুর পর রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের অনেক এলাকায় সাফল্য পেলেও দেশটির উল্লেখযোগ্য বা বড় কোনো শহর এখনও দখলে নিতে পারেননি রুশ সেনারা। এ ছাড়া মস্কো ইতিপূর্বে মারিউপোল শহরের বেশিরভাগ অংশ দখলে নেওয়ার দাবি করলেও ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অবশিষ্ট একটি অংশ শহরটির একটি ইস্পাত কারখানায় অবস্থান করছে। মূলত কারখানার ভেতরে রুশ বাহিনীর হাতে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে তারা। এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনাদের ওই দলটিকে আত্মসমর্পণের আলটিমেটাম দিয়েছিল মস্কো। এমনকি আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধাদের জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল দেশটি। সেই আহ্বানে সাড়া না মেলায় গত বুধবার ফের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেয় রাশিয়া। তবে এর পরও মেলেনি সাড়া।
আজভ রেজিমেন্টের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ঘরে মহিলা এবং শিশুদের বলতে শোনা যায় যে, তাদের খাবার এবং পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে।