নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ নিতে অপারগতা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।
শনিবার রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরিত এক পত্রে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় সিপিবি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।
এ নিয়ে চারটি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্য দলগুলো হলো- বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন ও বাসদ।
পত্রে সিপিবি বলেছে, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।’
রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে এতে বলা হয়েছে, “এই মৌলিক বিবেচনা থেকে সিপিবি নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’সহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল।”
‘এ অবস্থায়, হুবহু একই আলোচ্যসূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না’ যোগ করা হয় পত্রে।
আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিপিবি নেতৃবৃন্দ পত্রে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের অপারগতার কথা অবহিত করেন।
নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে পত্রে বলা হয়, “অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধানসম্মতভাবে একটি নির্বাচন কমিশন মনোনীত করা জরুরি বিধায়, আপনার কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, আপনি জাতীয় সংসদকে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে আগামী একমাসের ভেতরে ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ প্রণয়ন করে তা স্বাক্ষরের জন্য আপনার কাছে পাঠাতে বলুন।”
‘তাহলে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের আগে সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আপনার বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না’ মনে করে সিপিবি।