নতুন নির্বাচন (ইসি) কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সংলাপ প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন সঙ্গত মনে করে না।’
রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘আমরা ২০১২ ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু, তিক্ত সত্য হলো—আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচন করে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী দেখায়। ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ২০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে। যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। এ দুই জাতীয় নির্বাচন এতটাই বিতর্কিত ও জালিয়াতিতে পূর্ণ। জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম হতাশ, বিব্রত ও লজ্জিত করেছে এ দুটি নির্বাচন। ফলে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকে আমাদের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়। কারণ যে দল তাঁকে রাষ্টপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছে, তিনি সে দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন নয় বরং সংলাপ হওয়া উচিৎ নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে সংলাপ হওয়া উচিত।’