পৌরাণিক কাহিনির রাজা-রানি
জীবনে অমিল। সাত-সাগর তের নদী
ডিঙ্গিয়ে, পঙীরাজ টগবগিয়ে রাজার কুমার আসে না জীবনে।
কাটাতারে ঝুলে থাকে ঘুটে কূড়ানী মেয়ে ফেলানীর লাশ।
রাজার কুমার যার স্বপনে ছিল।
এখানে রাবণ ঘুরে বড় প্রতাপে ,
সীতা উদ্ধারে আসে নাকো রাম।
ম্যাগমা হৃদয়ে নিয়ে অহল্যা নারী,
অতিথি পতিত পাবণ দোরে আসে না।
এখানে হৃদয় নেই প্রেম উৎসারি,
হেলেনের প্রেমে তবু পুড়ে যায় ট্রয়।
জীবনের সংগ্রামে পথে পথে ঘুরে হতাশ কুমার
ক্লান্ত ঘুমিয়ে পড়ে দারুণ ক্লেশে।
ব্যঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী গাছের ডালে নিরুত্তাপ বসে থাকে।
পথ দেখাতে তাকে বলে উঠে না কোন অবাক কথা।
কপালে সুয়োরানীর বিষবড়ি পুরে কতজনই
তোতাপাখি হয়ে সবভুলে গেয়ে চলেছে কেবল সুয়ো গুণগান।
সোনারকাঠি-রুপোর কাঠি বুঝি হারিয়ে গেছে
কোথায় হারিয়ে গেছে স্বপন কুমার
হাতের ছোয়ায় বড়ি খসে পড়ে তোতাপাখি মানুষের বোল গায় না।
মানুষেরা বুঝে গেছে কারা তোতাপাখি।
বিষের বড়ি নিয়ে ওরা ভাবে না।
সোনার-রুপার কাঠি মানুষ এখন।
যুগে যুগে মানুষেরা পথে নেমেছে
সমাজ বাঁচায় না কোন ডালিম কুমার।
আমরা বয়েছি চলে পথের পাঁচালী
ব্যথা আর স্বপ্নে ভরা পথহাটা অপুর জীবন।
হিমুরা দীক্ষা দেয় গড়বে মানুষ।
মানুষ, তব্ওু আজও সংশপ্তক।