রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় জমে উঠেছে রূপসা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নির্বাচনী হাওয়া। তারমধ্যে রূপসা উপজেলা সদরের ৪ নং টিএসবি ইউনিয়নের আগাম নির্বাচনী আমেজে যেন অন্ত নেই। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু নানা গুঞ্জন আর লবিং গ্রুপিং এর মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত কে হবেন নৌকা এবং ধানের শীষের কান্ডারী তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
নির্বাচনের আগাম প্রার্থী হিসাবে অনেকের নাম শোনা গেলেও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের শাহজাহান কবির প্যারিস , বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল মিত্র, আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদুল আলম বাবু, বিএনপি নেতা বিকাশ মিত্র, জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টুকু, সাংবাদিক জুয়েল হালদার সহ আরো দুই তিনজন নতুন মুখের কথা শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু এ সকল প্রার্থীদের পাশ কাটিয়ে ভোটারদের সমর্থন নিয়ে অনেকটা সামনের দিকে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক জুয়েল হালদার।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি রূপসা উপজেলা সদরের ৪ নং টিএসবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নিজের অবস্থান ঘোষণা করলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) র সদস্য সাংবাদিক বুদ্ধদেব হালদার জুয়েল ওরফে জুয়েল হালদার। এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা গেলেও তাঁর কোন মতামত পাওয়া যায়নি। এসকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাতে বৃহষ্পতিবার তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ইউনিয়ন বাসী যদি মনে করেন এবং তার সাথে থাকেন তবে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। এ জন্য তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়নও প্রত্যাশা করেন।
তিনি বিশ্বাস করেন সার্বিক বিচারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তাকেই নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনয়ন দেবেন। সাংবাদি জুয়েল হালদার সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজসেবক, তরুণ উদ্যোক্তা, পরোপকারী এবং মানবিক গুণাবলির অধিকারী বলে ইতোমধ্যে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম পরিলক্ষিত হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার হিসাবে তিনি বলেন তাকে নির্বাচিত করলে তার নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বেকার মুক্ত যুবসমাজ গড়তে তুলবেন। সকল প্রকার সন্ত্রাসী এবং মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে তিনি বদ্ধপরিকর। সাংবাদিক জুয়েল হালদার তিনি রূপসা উপজেলার তালতলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সেখানে তিনি প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে কাজদিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বর্তমানে কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে বিএসএস (সম্মান) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর সিটি ল কলেজে এলএলবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত জড়িত ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সাংবাদিকতায় তার পেশাগত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রথমে তিনি রূপসা উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকতা করতেন পরবর্তীতে খুলনাতে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় গণমাধ্যম এর কাজ করেছেন। তিনি ঢাকাতে সাংবাদিকতা করেছেন জাতীয় দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক জেসটিনি, দৈনিক আজকের সংবাদ, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চব্বিশ ঘন্টার সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল এটিএন নিউজ, মিশ্র ঘরনার চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল শ্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়ন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্য।
এছাড়া তিনি ঢাকা জার্নালিস্ট এন্টারটেইনমেন্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকায় বসবাস করা রূপসা বাসীর সংগঠন ঢাকাস্থ রূপসা উপজেলা সমিতির দপ্তর সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রূপসা উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডুসারের সাংগঠনিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের খুলনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে প্রিয়া ট্রেডার্স এবং বিজ্ঞাপনি সংস্থ্যা কল্পনা মিডিয়ার পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া তিনি রাষ্ট্রের নিয়মিতদের মধ্যে একজন নিবন্ধিত করদাতা।