নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর ভাসানচরের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা দেখে রোহিঙ্গারা দলে দলে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলাবার দুপুরে ভাসানচর থানার উদ্বোধনকালে তিনি একথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গারা এতদিন ভুল বুঝেছিল যে, এখানে তাদের নানা অসুবিধা হবে। কিন্তু এখন সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা দেখে তারা ভবিষ্যতে দলে দলে ভাসানচরে যাবে।
ভাসানচর ও আশপাশের এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষায় ভাসানচর থানা করা হয়েছে। আজ থানাটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- নোয়াখালী-৬ আসনের সাংসদ আয়েশা ফেরদাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীসহ (এন) এনডিসি, পিএসসি, বিএন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। থানার উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিগণ গাছের চারা রোপন করেন।
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত ভাসানচর থানাটি জেলার দশম থানা। ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এ বসবাসকারী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাসহ অন্যদের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য থানটি করা হয়েছে। এ থানায় একজন পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), দুইজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), চার জন সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও ১৭জন কনস্টেবল থাকবে।
ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনায় তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে নবগঠিত এ থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১৯ সালে ২১ অক্টোবর প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) এর ১১৬তম সভায় এ থানা স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাসানচর থানার জন্য ২৪টি পদ অনুমোদন করে। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পদগুলো মঞ্জুর করে।