দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ১৬ মে পর্যন্ত ছিল। পরে এ লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পূর্বের সকল বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রজ্ঞাপনে আরও দুই শর্তাবলি সংযুক্ত করা হয়। শর্তগুলো হচ্ছে-
১. সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে।
২. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (Takeaway/Online) করতে পারবে।
চলমান এই বিধিনিষেধে বর্ধিত মেয়াদেও জেলার মধ্যে বাস চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া আগের মতোই বন্ধ থাকবে ট্রেন ও লঞ্চ। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা আছে ব্যাংকও। এ ছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা।
এর আগে শনিবার (১৫ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এদিন ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন যেমনভাবে বিধিনিষেধ চলছে, তেমন করে আরও এক সপ্তাহ এ বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের শর্তগুলোই বহাল থাকবে।
গত ১৩ মে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে শতভাগ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে।
এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।
এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।