করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ সোমবার থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে সাত দিনের লকডাউন। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধের কথা বলা হয়েছে। তবে লকডাউনেও দোকান খোলার দাবিতে রাজধানীতে রাস্তায় নেমেছেন দোকান মালিকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লকডাউনের প্রথম দিনই সোমবার দুপুরে রাজধানীর গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
নিউমার্কেটের প্রধান গেইটের সামনে অবস্থান নিয়ে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। তারা এর বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু সরকার কোনো কোনো খাতে ছাড় দিয়েছে। শুধু শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাটগুলো শতভাগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে এটা করা অন্যায়। দৈনিক অন্তত চার ঘণ্টার জন্য হলেও মার্কেট খোলা রাখলে দোকানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া যেত।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সারা বছর ঈদের বেচাকেনার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় এসে মার্কেট বন্ধের ঘোষণায় তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাদের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি ব্যবসায়ীরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সরকার থেকে বলা হয়েছে অনলাইনে বেচাকেনার জন্য। অনলাইনে বিক্রি করতে হলেও তো দোকান খুলতে হবে। ব্যবসায়ীদের রোজার ঈদটা সারা বছরের ব্যবসা। এ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত হলে না খেয়ে মরতে হবে।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবুল হাসান বলেন, ‘দোকান মালিক ও কর্মচারীরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে বলায় তারা চলে গেছেন।’