ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকা থেকে ১৫ জন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ বরিশালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আসছেন।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ ৭৫ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বার্ন ইউনিট প্রায় দুইবছর যাবত বন্ধ থাকায় রোগীদের হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারনে বেশিরভাগ রোগীর ঠাঁই হয়েছে সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দায়। এ হাসপাতালে নেই বার্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎক। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা থেকে ১৫ সদস্যের বার্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শুক্রবার বিকালে বরিশালে পৌঁছাবেন।’
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন মারজিয়া (৮) নামে এক শিশু মারা যায়।
শেবাচিম পরিচালক জানান, সাত জন রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে চারজনকে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বেলা সোয়া ১টায় শেবাচিম হাসপাতালে আসেন। তিনি ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এসময় খালিদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চে অগ্নিকান্ডের কারন উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহত রোগীদের সুচিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ ও শিশু সার্জারী বিভাগে মেঝেতে রাখা দগ্ধ রোগীরা কাতরাচ্ছেন। ক’জন রোগীর জ্ঞান নেই। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৮ জনের মধ্যে সংকটাপন্ন হওয়ায় তিনজনকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের সাহার্য্যে এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসকের স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও পুলিশ বাহিনীর সদসরা। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টের একদল স্বেচ্ছাসেবকরাও সেখানে কাজ করছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সদস্য জানান, ঢাকায় নেওয়া রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি দেওয়া হচ্ছে পুলিশ বিভাগ থেকে। এছাড়া সেতু ও ফেরি টোল মওকুফের জন্য জেলা পুলিশের বিশেষ পত্র দেওয়া হয়েছে।