কুমিল্লার লাকসামের কালিয়াচৌ এলাকায় বিআরটিসি পরিবহনের বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িসহ চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ গুরুতর আহত তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সকলেই অটোরিকশার সিএনজি যাত্রী। তাদের বাড়ি লালমাই উপজেলার ভোলাইন ইউনিয়নের পরতী গ্রামে।
নিহতরা হলেন, লালমাই উপজেলার ভোলাইন ইউনিয়নের পরতী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাহার মিয়া (৫৫), স্ত্রী পারুল বেগম (৪০), শাশুড়ি গোলাপ নাহার (৭০) ও মেয়ে জান্নাত (১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত বাহারের ভাতিজা মীর হোসেন। জানা যায়, ফেনীতে বাহারের চাচা শশুরের জানাজায় যাওয়ার পথে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে বাহার ও তার শাশুড়ি গোলাপ নাহার মারা যান। পরে কুমিল্লা নেয়ার পথে তার স্ত্রী পারুল বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া মারা যায়।
খবর পেয়ে লালমাই হাইওয়ে থানার এসআই জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। লালমাই হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি উদ্ধার করেছে।
লাকসাম হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই জসীমউদ্দীন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দুর্ঘটনায় নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আরও দুজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ লাকসাম হাইওয়ে থানায় রয়েছে। স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর আনুষ্ঠানিকতা সেরে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
লাকসাম হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা মাকসুদ আহমদ জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অপর তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের জরুরিভিত্তিতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।