করোনার মহামারির মধ্যে শান্তি ও কল্যাণের বাণী নিয়ে যিশুর আগমনী দিন উদযাপন করছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শনিবার গির্জাগুলোতে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুল, নানার রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ দিয়ে সাজানো হয় গির্জা।
করোনা মহামারি এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সীমিত করা হয়েছে উৎসব। আজ প্রভাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা (খ্রিষ্টযোগ) অনুষ্ঠিত হয়। সব বাড়িতেই কেক, পিঠা, কমলালেবু, পোলাও-বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের আয়োজন করা হয়।
আজ খ্রিষ্টানদের ঘরে ঘরে উৎসবের আনন্দধারা। বর্ণিল আলোকের রোশনাইয়ে ভেসে যাচ্ছে গির্জা, গৃহ-দুয়ার আর অভিজাত হোটেলগুলো। সাজানো হয়েছে গো-শালা, ক্রিসমাস ট্রি আর বহুবর্ণ বাতি দিয়ে। ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে আর ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো’-এই ’সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতিময়’ আহ্বান নিয়ে মানুষের ’মনের রাজা’ যিশুখ্রিস্ট এদিন আসেন এই পৃথিবীতে। তাই এ দিনে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছেন তাদের সবচেয়ে এই বড় উৎসব।
কাকরাইলের সেন্ট মেরিস গির্জা, তেঁজগাওয়ের হলি রোজারিও গির্জা, আসাদগেটের সেন্ট ক্রিস্টিনা গির্জা ঘুরে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। তবে বড়দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বাইরের লোকের সমাগম নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কেউ গির্জায় প্রবেশ করতে পারছেন না।