শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাতিল করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ খোলার রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে। শত শত শিক্ষার্থী মানসিক অবসাদগ্রস্তসহ নানামুখী চাপে দিশেহারা। সারাদেশে দোকানপাট, মার্কেট, বাজার, শপিংমল, কলকারখানাসহ সবকিছু যখন চলছে, তখনও নানা ছুতোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। এতে করে অনেক শিক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে এবং দীর্ঘসূত্রিতার দরুণ একই বর্ষে দুই বছর যাবত আটকে আছে। দীর্ঘ সেশনজট, যথাযথ নির্দেশনার অভাবসহ বিভিন্ন নেতিবাচক অবস্থার আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা এখন ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
আগামী বাজেটে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়ে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শাহনাজ সুমি বলেন, আমরা দেখেছি সরকার গার্মেন্টস মালিক, বাস মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু করোনাকালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য তেমন কোনো সরকারি সাহায্য- সহযোগিতা মেলেনি। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থীই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকের আবার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আগামী বাজেটে যেন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়, আমরা সে দাবি জানাই।
যদি অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হয় তবে আবারও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন শুধুমাত্র করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। করোনার টিকাই যদি একমাত্র কারণ হয়, তবে প্রথম ধাপে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে, তখন সাত কলেজ প্রশাসন একেবারে নীরব। আমরা এমন বৈষম্যের অবসান চাই। অতি দ্রুত পরামর্শক কমিটি এবং কলেজ প্রশাসন আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছি। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলন করব।