স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পরমত সহিষ্ণুতা, সকলের সাথে মিলে মিশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং দেশপ্রেমের মত মৌলিক মূল্যবোধ শিশুদের চিন্তা ও মননে গেঁথে দিলে তারাই গড়ে তুলবে আগামীর আলোকিত মানবিক বিশ্ব।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ এর সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শনিবার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে হলে শিশুদের ছোটবেলা হতেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘শিশু অধিকার সনদ’ গৃহীত হওয়ার ১৭ বছর আগে বাহাত্তরের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যার ২৮ অনুচ্ছেদে পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা বা আইন প্রনয়ণের বিষয় বিবৃত আছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আয়োজিত এবারের ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য তিনি কোমলমতি শিশুদের প্রতি আহবান জানান।
স্পিকার আরো বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জেনে শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
শেষে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কোমলমতি শিশুদের পরিবেশনায় ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ এর সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মহাপরিচালক, শিশু একাডেমীর কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত শিশু ও তাদের অভিভাবক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।