লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র তামিম ইকবালের (১২) চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
শিশুটির বাবা সাহাদাত হোসেনের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জ্বালানি সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তামিম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিনমজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে; সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।
মা আমেনা বেগম জানান, দুই মাস ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে তার এ অবস্থা হয়েছে। বাবা শাহাদাত হোসেন বলেন, ধার-দেনা করে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে আসছি। এখন আর পারছি না। ছেলের জন্য ঠিকমতো ওষুধ কিনতে পারি না। আমি ও আমার স্ত্রী প্রায়ই না খেয়ে থাকি।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে পড়ে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎতকে জানালেও তারা আসেনি। ২৫ সেপ্টেম্বর তামিম নদীতে গোসল করতে গেলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয়।