যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফট্যানেন্ট শহীদ শেখ জামাল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস এবং বাতিঘর। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ জামাল বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত।
বুধবার শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, শেখ জামাল শুধু সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন না, একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অনন্য অবদান রেখেছিলেন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে রয়েছে তার অনবদ্য ভূমিকা। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতিটি সদস্যই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একেকটি আলোকবর্তিকা। স্বাধীনতার পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে শহীদ শেখ জামালের অবদানও সূর্যের আলোর মতোই দীপ্যমান। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তার কর্মময় জীবন ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে শহীদ শেখ জামালের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার মানসে আমরা জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সকে শেখ জামালের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তিনি শুধু ফুটবল ক্রিকেট নয়, ভালো টেনিস খেলোয়াড়ও ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময়ে পাকিস্তানি দোসর বিএনপি-জামায়াত চক্ররা মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রকৃত অবদানকে বিকৃত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলো বলেও উল্লেখ করেন।
যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ ও শহীদ শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ সহচর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার ক্রীড়া সংগঠক তানভীর মাজহার ইসলাম তান্না।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দফতর সংস্থার প্রধানরা।
এদিকে, শহীদ শেখ জামালের ৬৮তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত শহীদ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে গরীব অসহায় দুস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।