ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার মাতৃ সমতুল্য। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের দারিদ্রতা কমিয়েছেন। তার মতো নেত্রী পেয়ে বাংলাদেশ ধন্য। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমি আনন্দিত। তিনি যেভাবে বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছেন। গত এক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন ছিল দেখার মতো। জিডিপি গ্রোথ বেড়েছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর এক উক্তি স্মরণ করে বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়। এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। বুধবার বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকার প্রধান।
মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ২১টি গান স্যালুটসহ গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে তিনি পরিদর্শন করেন এবং উভয় প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরস্পরকে পরিচয় করিয়ে দেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনী প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে শেরিং পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।