সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। এই দিনেও তালিকাভুক্ত ব্যাংকের দর বেড়েছে বেশি। এছাড়া বস্ত্র ও বিমা খাতের কোম্পানির বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে।
আগের কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শুরুতেই মূল্যসূচক বাড়তে থাকে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকায় এক পর্যায়ে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে যায। তবে শেষ ঘণ্টার লেনদেনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে সূচকের বড় উত্থান আটকে যায়। বেশ কিছু কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা যায় শেষ পর্যন্ত। তবুও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ল ৮৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১১০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৭০টি এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৪ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসেফিক ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম