বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

শ্রীলঙ্কায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২
  • ২২০ পাঠক পড়েছে

সংকটময় পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সম্প্রতি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ক্ষমতাসীন জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া তিনটি রাজনৈতিক দল এবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড়ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পরিবর্তে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) এমন প্রস্তাব আনার বিষয়টি জানায় দলগুলো।

২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট থেকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া পদত্যাগ করেন মন্ত্রিসভার সব সদস্য। এরপর প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন এবং সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আহ্বান জানান।তিনটি শরিকদলের ১৬ জন আইনপ্রণেতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তারা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সর্বদলীয় সরকার গঠনের ব্যাপারে। তবে বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

জাথিকা হেলা উরুমায়া পার্টির প্রধান উদয় গাম্মানপিলা বলেন, আমাদের প্রস্তাব হলো, সব দলের অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠন করা। সর্বদলীয় ওই কমিটি একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী নিয়োগ করলে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন তারা। এর আগে রোববার (১০ এপ্রিল) তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (টিএনএ) জানায়, প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টে বিরোধী সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে তাতে দলটি সমর্থন দেবে।

২২৫ আসন বিশিষ্ট দেশটির পার্লামেন্টে সামাগি জনা বালাওয়েগায়া (এসজেবি) ও তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (টিএনএ) সমন্বয়ে আসন রয়েছে ৬৪টি। জোট গঠন করে ১৫০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দল। কিন্তু সম্প্রতি জোটের ৪২ জন আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করেন এবং নিজেদের স্বতন্ত্র বলে ঘোষণা দেন। এদিকে, ১৯ এপ্রিলের আগে বসছে না শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট।

সোমবার (১১ এপ্রিল) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্টসহ তিনি দেশকে সংকট থেকে বের করে আনতে প্রতিটি মূহুর্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসএলপিপি দলের নেতা গোতাবায়া রাজাপাকসে ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তার দল। নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সংবিধান সংশোধনও করেন তিনি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ নানা কারণে সম্প্রতি দেশটির অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

খাদ্যপণ্যসহ সবধরনের জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। গ্যাস, পানির তীব্র সংকট, এমনকি ফুরিয়ে আসছে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ। এসব কারণে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াসহ তার বড়ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে কলম্বোর মানুষ। অর্থনীতির এ হেন অবস্থার জন্য সরকারকেই দায়ী করছেন আন্দোলনকারীরা।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580