তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে, সেই সঙ্গে অনেক নতুন সাংবাদিকও যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু রিপোর্টগুলো আগের মতো আর নেই। তিনি বলেন, কিছু রিপোর্ট এখনও আমাদের ভাবায়। আমরা যে কাজটা করলাম সেটা আদৌ ঠিক ছিল কি-না এমন অনেক বিষয় উঠে আসে তাতে। আর সেই রিপোর্টগুলোই ইতিহাস হয়ে থাকে।
রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাকশন এইড আয়োজিত ইয়ং জার্নালিস্ট ফেলোশিপ এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কিছু রিপোর্ট এখনও আমাদের ভাবায়। আমরা যে কাজটা করলাম সেটা আদৌ ঠিক ছিল কি-না এমন অনেক বিষয় উঠে আসে তাতে। আর সেই রিপোর্টগুলোই ইতিহাস হয়ে থাকে। সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো সমাজের অনগ্রসর বিষয়গুলো তুলে আনার জন্য। রাষ্ট্র যেখানে তাকায় না, তারা যেন সেখান থেকে ঘটনা তুলে আনেন। আমাদের দেখিয়ে দেন কোথায় কতটা কাজ করবো। এভাবেই আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়তে পারি।
ড. হাছান বলেন, সংবাদমাধ্যম আমাদের তৃতীয় নয়ন। মানুষ স্বাভাবিকভাবে যেসব কথা বলতে পারে না, সাংবাদিকরা কলমের মাধ্যমে তা তুলে ধরেন। তাই এগুলোর গুরুত্ব অনেক। ভালো কাজের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের উৎসাহিত করার গুরুত্ব অপরিসীম। ঠিক তেমনি অনেক ভুল রিপোর্টের কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা অনন্য সাধারণ একটি পেশা। এটির সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, অঙ্গীকার আছে। আমাদের প্রত্যাশা আমরা যেন জনগণের কল্যাণে সাংবাদিকতা করতে পারি। ভালো কাজের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করে দেশের উন্নয়ন করতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধের সফলতা প্রতিফলিত হবে। সাংবাদিকতায় যে নেতিবাচক প্রভাব ছিল তা এখন ইতিবাচক হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নাজমুল আহসান ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিনিয়র নিউজ এডিটর বোরহানুল হক সম্রাট।
এ সময় চারজন সংবাদকর্মীকে ফেলোশিপ এবং তিনজনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য অ্যাওয়ার্ড পান বিটিভির রিপোর্টার মো. ইকবাল হোসেন, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ঢাকা অ্যাপোলজির ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর মিফতাহুল জান্নাত।
এছাড়া ফেলোশিপ পেয়েছেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বাবু কামরুজ্জামান, ডেইলি স্টারের নিলিমা জাহান, আইপি নিউজবিডির চিফ রিপোর্টার সাতেজ চাকমা এবং দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এম ইউসুফ আলী। অতিথিরা অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট তুলে দেন।