বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পত্রপত্রিকায় ঢালাও করে সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়ে গেছে আবার। সেখানে নাকি রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলিকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছে। কিসের সংলাপ? কেমন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন কমিশন দিয়ে কী হবে?
তিনি অভিযোগ করেন: সরকারই তো এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতোক্ষণ ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন করে কোন লাভ হবে না। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই- নির্বাচন নির্বাচন করে কোন লাভ হবে না। সংলাপ সংলাপ করে কোন লাভ হবে না। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে নির্বাচনকালীন সময় যদি কোন নিরপেক্ষ সরকার না তাহলে নির্বাচন কোনদিন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা সদর এলাকায় পানির ট্যাংক মাঠে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় সংলাপ ও নির্বাচন করে কোন লাভ নেই জানিয়ে পদত্যাগ করে কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান ফখরুল।
টাঙ্গাইলের এই জনসভায় তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি। খালেদা জিয়া বাহিরে থাকলে এই দানবীয় সরকারের পতন ঘটাবে। তাই যেটি মামলাই নয় এমন একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তিন বছর আটকে রেখেছে। খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসকরা বলছেন, আমরা বলছি তবুও এই অমানবিক সরকার নূন্যতম মানবতা দেখাচ্ছে না।
এছাড়াও তিনি সাবেক সেনা ও র্যাব প্রধানসহ অন্যানোদের আমেরিকা কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে কথা বলেন, বেআইনি সরকার বেআইনিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রেখে, রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশের ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএপির আহবায়ক আমান উল্লান আমান, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতালন সালাহউদ্দিন টুকু, সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু।