জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট পাশ হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। কণ্ঠভোটে বাজেট পাস হয় বেলা সাড়ে তিনটার দিকে। আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন জাতীয় সংসদের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার ৩০ জুন এটি জাতীয় সংসদে পাস হয়।
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে চূড়ান্ত আকার (ব্যয়) ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপি‘র ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বাজেটের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি ধরা হযেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে মোট জিডিপি‘র আকার ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা
বাজটের আয় যেভাবে আসবে: বাজেটের মোট আয়ের মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান নেওয়া হবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এই মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সরাসরি কর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত কর ১৬ হাজার কোটি টাকা। তা ছাড়া কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হচ্ছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি যেভাবে মোকাবিলা হবে: ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোট ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যান্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেওয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা।