অভিজিৎ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে আট বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা। র্যাবও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে দেশের সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত এই চৌকস বাহিনীটি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেছেন, জিয়ার অবস্থান সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আগে বিভিন্ন সময়ে তার সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য আমরা পেয়েছিলাম। তখন জানা গিয়েছিল, জিয়া দেশেই ছিল। পরে আমরা অভিযানও চালিয়েছিলাম। বর্তমানে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তি আমরা সন্দেহ করছি যে, জিয়া হয়তো দেশের বাইরে কোথাও আত্মগোপনে রয়েছে।
আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারস্থ র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন খন্দকার আল মঈন। তিনি আরো বলেন, তার খোঁজ জানতে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান চলমান আছে। তার বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। জিয়া যদি দেশের বাইরেও থাকে- তার বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। তার সন্ধান পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে।
এর আগে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, ‘জিয়া এখন দেশে নেই।’ মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, তাঁরা (জিয়া ও আকরাম) দেশে নেই। তাঁরা অন্য দেশে গাঢাকা দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ধরে এনে রায় কার্যকর করা হবে। এ জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, জিয়াউল হক জিয়াসহ অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা এখনো বাংলাদেশেই রয়েছে। জিয়া ও আকরামের সন্ধান চেয়ে গত রবিবার ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণার সময় এ ধারণা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীন রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস (আরএফজে)।
বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রথমে আকরামের নাম আসে। পরে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলা এবং জুলহাস-তনয় হত্যা মামলায়ও তাঁর নাম আসে। মেজর জিয়ার অন্যতম সহযোগী আকরাম। তিন মামলায়ই জিয়ার সঙ্গে আকরামও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।