সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক শক্তি না থাকায় সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে, ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট শক্তির অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরি ধারাবাহিকতায় অধিকার ও মুক্তি অর্জনে ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম গণজাগরণ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মশালা উদ্বোধন করে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ও ভোটের ফলাফল নিয়ে আমাদের যে আগ্রহ আর উৎকন্ঠা- সেই আগ্রহ আর উৎসাহ নিয়ে নিজেদের দেশে ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে নয়, জবরদস্তিমূলক কর্তৃত্ববাদী শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক জোর না থাকায় একদিকে ভয়াবহ সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে, আর অন্যদিকে চরম দক্ষিণপন্থী ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট শক্তির অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেন তিনি।
দেশ পরিচালনায় সরকারের কার্যকারিতা না থাকায় সরকারের ভিতরে ও বাইরে যা খুশী তাই করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, এ কারণে করোনাকালেও দুর্নীতি, লুটপাট, বাজার সিন্ডিকেট, জবরদখল, ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, হত্যা, সন্ত্রাস আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এইসব অপরাধী ও দুষ্ট চক্রদের বড় অংশ সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় তাদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রেখেছে। এদের অশুভ তৎপরতার কারণে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এই অবস্থা চলতে দিলে দেশ আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে। তিনি এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে, জনগণের অধিকার আর মুক্তি অর্জনে ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম গণজাগরণ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, মাহমুদ হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, এ্যাপোলো জামালী, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, খলিলুররহমান, মো. ইমরান, রহিমা খাতুন, নজরুল ইসলাম শাহজাহান, হামিদুল ইসলাম, বাবুলাল, বকুল হোসেন, জোনায়েত হোসেন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।