দেশের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহারের জন্য ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর কিনতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং জরুরি প্রয়োজনে টেবিলে একটি প্রস্তাবসহ মোট তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তিনটি প্রস্তাবেরই নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
করোনা রোগীর জন্য ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ে দুর্নীতির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত জরুরি বিষয়। তাদের দায়িত্ব ছিলো এসব চাহিদার বিষয়ে যথাযথ সময় ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু তখন সেটি করা হয়নি। করোনা পৃথিবীতে সবার জন্যই প্রথম। এজন্য সবাই যেসব কাজ সম্পর্কে অবগত থাকবে তাও না। যদি বারবার একই রকম মিসটেক (ভুল) হয় তাহলে এগুলো ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স থেকে বাদ যাবে। তবে এখন যেগুলো আসছে সেগুলো সবই নতুন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। এরমধ্যে কাজের পরিধি বাড়ছে। আমাদের এখন এগুলো চিন্তা না করে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে। এ বিবেচনায় আমরা আজকে এটি অনুমোদন দিয়েছি। আরো আগে যথাযথভাবে যদি আমরা এগুলো করতে পারতাম তাহলে হয়তো আমাদের সাশ্রয় হতো বলে আমি একমত। তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে বলেছি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড.শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন সিএমএসডি কর্তৃক করোনায় সংক্রমিত রোগীর ব্যবহারের জন্য ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।