ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আয়োজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও বিকশিত ও শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকার নিস্বার্থভাবে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছেন, আত্মত্যাগ করেছেন। ভারত অনেক বড় দেশ, অর্থনৈতিকভাবে ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশ। কাজেই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর, আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার হওয়া উচিত।’
আজ শনিবার রাজশাহীতে বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছরপূর্তিতে আয়োজিত সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় আগত ভারতের মন্ত্রী, অভিনেতা, কবি, শিল্পী, সাংবাদিকসহ মোট ৩৬ জন অতিথিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের উদ্যোগে চারদিনব্যাপী দুই বাংলার এ মিলনমেলার প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যদি আরও সুদৃঢ় হয়, তাহলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দুর্বল হবে, তাদের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত আমাদের পাশে আছে। আমরাও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করি।
মেয়র লিটন বলেন, ‘ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত পদ্মা নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌরুট চালু করা সম্ভব। এটি হলে রাজশাহীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীসহ বিশিষ্টজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।